আমরা যখন কোন রোগে আক্রান্ত হই তার অনেক আগে থেকেই শরীর আমাদের সংকেত দিতে থাকে। কিন্তু তা আমরা অগ্রাহ্য করি।
সুপ্ত রোগ হতে সাবধান
সূচনা
ওভারিয়ান ক্যান্সার (Ovarian cancer)
এটি এমন একটি রোগ যা চূড়ান্ত পর্যায়ে না পৌঁছা পর্যন্ত ধরা যায় না। শরীরের ভেতর বাস করে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।
ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণ
- তলপেটে অস্বস্তি বোধ করা।
- পেট ফুলে যাওয়া।
- গ্যাস জমে বায়ু নির্গমন হওয়া।
- পিঠে ব্যাথা।
- ওজন হ্রাস।
- ক্ষুধামন্দা।
- প্রসাব কমে-বেশি হওয়া।
ওভারিয়ান ক্যন্সার এর কারণ:
- চর্বিযুক্ত খাদ্যাভ্যাস।
- বন্ধ্যাত্ব।
- অকালে মাসিক শুরু হওয়া।
- বিলম্বে সন্তান প্রসব।
- বিলম্বে মেনোপজ।
- বংশীয় জরায়ু রোগ।
- স্তন ক্যান্সার।
- বৃহদান্রের রোগ। ইত্যাদি
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণের মাধ্যমেই এসব ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
ওভারিয়ান ক্যন্সার নির্ণয় ও চিকিৎসা :
MRI, Laparoscopy এবং রক্ত পরীক্ষা করে এই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। ডিম্বাশয়ের সার্জারি করে ডিম্বাকোষ অপসারণ করার মাধ্যমে ক্যান্সার নিরাময় করা যায়।
থাইরয়েড ক্যান্সার
এই রোগটি হলে নিতম্বের হাড়ে ব্যাথা হয়। এটাকে কেউ Arthratis বলে ধারণা করতে পারে। কিন্তু এটি থাইরয়েড ক্যান্সার যা ক্ষুদ্র রোগজীবাণু হতে কোষের বৃদ্ধি করে। যার ফলে প্রাথমিক আক্রান্ত অঙ্গ হতে অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।
Radioactive Iodine (Radioiodine) Therapy
” প্রয়োগ করা হয় যে ম্যালিগন্যান্সিটা ছড়িয়ে যেতে না পারে। নিতম্বের হাড়ের ব্যাথা সাধারণ করে চুপ করে থাকা একদম অনুচিত।Bowel Cancer
পেটের ক্যান্সার এর লক্ষণ
- ঘনঘন পায়খানার চাপ।
- পেট পরিষ্কার না হওয়া।
- মানসিক চাপ।
- মলের সাথে রক্ত যাওয়া।
- তলপেটে ব্যাথা।
পেটের ক্যান্সার এর কারণ:
- বেশি বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খেলে।
- আঁশযুক্ত খাবার না খাওয়া।
- বংশে এ রোগ থাকলে।
পেটের ক্যান্সার এর চিকিৎসা :
এ রোগের চিকিৎসা হলো সার্জারি ও ক্যামোথেরাপি। তবে লক্ষণ দেখা দেওয়ার প্রাথমিক পর্যায়েই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
পাকস্থলীতে ক্যান্সার
এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীর ভিটামিন বি-১২ শোষণ করেনা এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়। এতে করে রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পাকস্থলী ক্যান্তার এর লক্ষণ
- অতিরিক্ত এসিডিটি সমস্যা।
- দূর্বলতা, অবসাদ, মস্তিষ্কে হালকাবোধ।
- লিভার বেড়ে যাওয়া।
- জন্ডিস।
- শরীরে ছোট ছোট দানা বের হওয়া।
- জটিল পর্যায়ে গেলে হাড় ভাঙ্গা শুরু হওয়া।
পাকস্থলী ক্যান্তার এর চিকিৎসা
প্যানক্রিয়াটাইটিস
প্যানক্রিয়াটাইটিস এর লক্ষণ
- তলপেটে ব্যথা করা।
- স্তনের নিচে ব্যাথা করা।
- বমি বমি ভাব।
প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা
প্যানক্রিয়াটাইটিস আক্রান্ত রোগীকে প্রথমত “Mild analgestic fluid and IV fluid” দেয়া হয়। এবং বিশুদ্ধ পানি পান করানো হয়। (৫)
কিন্তু অবস্থা জটিল হলে ICU- তে নেওয়ার ব্যাবস্থা করতে হয়।