যেসময়ে জাতি হুমকির মুখে সেসময়ে নারীদের একটু বেশিই সচেতন থাকা প্রয়োজন। কারণ নারী নামটাই কোথাও নিরাপদ নয়। হয়তো ঘরেও না বাইরে তো আরই না। কিন্তু কি বলুন তো নারীরা প্রায়শই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তবুও সচেতন নয় কেন! মেয়েরা কিভাবে ছেলেদের ফাঁদে পড়ে ?
মেয়েরা কিভাবে ছেলেদের ফাঁদে পড়ে ?
নারীদের যে সময়ে নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন সেসময় হয়তো তারা স্বেচ্ছায় সপে দেয় নিজেকে কুলাঙ্গারদের কাছে। কিন্তু কেন, কিসের টানে! নারী কোমলমনা, নারী সরলমনা। একটু ভালোবাসা নামক আলেয়ার ছোঁয়ায় তারা গলে গলে যায়।
Advertisements
কতভাবে নারীরা তাদের নারীত্ব হারায়! তবুও কি সচেতন হয়েছে তারা, সচেতন হয়েছে তাদের পরিবার?
মানুষ যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেখানেই তারা আকর্ষিত হয় বেশি। চরিত্রের দিক হতে নারী ও পুরুষের মধ্য একটি বিশেষ বৈষম্যে রয়েছে। এ বেপারে প্রায় সমাজবিজ্ঞানীই একমত। পুরুষেরা মহিলাদের চেয়েও বেশি আগ্রাসী এ কথা একটি ‘ল’ হিসেবেই গণ্য করা হয়।
পুরুষের এই আগ্রাসী মনোভাব প্রায় দুবছর বয়স হতেই প্রকাশ পেতে থাকে তবে প্রাপ্তবয়স পুরুষের মধ্য এই মনোভাবের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যায়। এই স্বভাবের অনেকটাই শরীরের অভ্যন্তরীণ গঠন ও কার্যকারিতার উপর নির্ভরশীল।
পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরোন এর প্রভাবই এর প্রধান কারণ। মহিলাদের ক্ষেত্রে এর অনুরূপ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাঁদের মূল্যবোধ বা লালন-পালন করার প্রবণতাকে ধরা যায়।
তবে কি পুরুষরা এসব কারণেই নারীদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে ?
অনেকেই বলে থাকে পুরুষরা একসঙ্গে একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। হতে পারে এমনটা, প্রাক্তন প্রেমিকা ভালো ছিলোনা এখনকার প্রেমিকা ভালো, নাকি অন্য মেয়েটি আরও ভালো সেটা বুঝতে পারেনা তারা। কনফিউশনটা বাজে কথা।
ছেলেরা হয়তো এতই উদার, ওদের মনটা এত বড় যে, একসঙ্গে একাধিক মেয়ের জায়গা হয়ে যায়। হাস্যকর হলেও এটাই বলা হয়। আর এই চক্করে ধ্বংস হয় কতশত বালিকার অনুভূতি ও সম্মান।
পুরুষের আরও একটি স্বভাব রয়েছে, যে মেয়ে পাত্তা দেয়না, তাকে পাওয়ার জন্যই ছেলারা পাগল থাকে। জন্ম হতেই ছেলেরা একটু বেশিই আ্যটেনশন পায়। ফলে যেই তারা দেখে কেউ একজন তাকে পাত্তা দিচ্ছে না। তখন তার পাত্তা পাওয়ার জন্যই মরিয়া হয়ে উঠে।
সে প্রেম টিকুক বা না টিকুক সে মেয়েকে তুলে দেখাবেই। ইগোর কাছে ভালোবাসার কোন স্থান নেই। আর বোকা মেয়েগুলো এখানেই গলে মন, প্রাণ, সম্মান সবকিছু উজাড় করে দেয়।
কেউবা হয় সিঙ্গেল মাদার,
কেউ হয় ধর্ষিতা,
কেউ হয় পাচার,
আবার কেউবা জড়ায়
অসুখী দাম্পত্য জীবনে
আমরা বলতেই পারি বা এমন অনেক প্রমাণ ও রয়েছে, ছেলেদের কাছে প্রেম মানেই শরীর।
ঘটনা এমনও হয়, দেখা করবে? আজ বাবা-মা নেই। বাড়িতে চলে এসোনা প্লিজ। অথবা চলোনা সিনেমা দেখতে যাই। ফাঁকা বাড়িতে, অন্ধকারের আশ্রয়ে বা নির্জনতার ঘোরটোপে মনের গোপন ইচ্ছেগুলোকে একটু বাস্তবরূপ দেওয়া, হয়তো পুরুষের কাছে প্রেমের মানে এটাই।
আরও পড়ুন… নারীরা কেন সফল হতে পারে না ?
শরীরী চাওয়া পাওয়া তার জন্য অল্প বিস্তর কাছে আসা।
প্রেম পবিত্র। তবে বিবাহের আগে প্রেম হারাম ইসলামে। তবুও কেন আমরা সচেতন নই! ভালোবাসা! কাকে বলে ভালোবাসা? পার্কের ব্রেঞ্চে পরপুরুষ কে হাত ধরতে দেওয়া, ঝোপের আড়ালে নষ্টামি নাকি হোটেলের রুমে নিজেকে বিসর্জন দেওয়া? এসব কিছুই নয় !?
Conclusion:
একজন মেয়ের আ্যটেনশন পাওয়ার জন্য একজন ছেলে কুকুরের চেয়েও নিম্ন হতে পারে। পায়ে ধরা হতে শুরু করে যাবতীয়। আর সফল না হলেই এসিড নিক্ষেপ, বা গ্রপ ধর্ষণ। আর সফল হলে তো স্বেচ্ছায় নষ্টামির সুযোগ পায়। নারীদের বোঝা উচিৎ।
Advertisements