ব্যবসার পরিধি ও জনবল বৃদ্ধি এবং মিতব্যয়ী হতে ধৈর্য্যশীল হওয়া প্রয়োজন – আমি উদ্যেক্তা হতে চাই (৫ম পর্ব) Be an entrepreneur!

কর্মসংস্থান বেশি করে বেশি জনবল নিয়োগে অধিক মানুষের জীবিকা নির্বাহের পথ করা সম্ভব। একজন সফল উদ্যেক্তার সামাজিক দায়িত্ব নিজের কর্মসংস্থানে প্রচুর পরিমাণ ভিন্ন চিন্নাধারার কর্মী নিয়োগ। কিন্তু লোক নিয়োগে হতে হবে সাবধানী। এ ক্ষেত্রে ধৈর্য্য ধারণ করে ধিরে ধিরে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে হবে, সাথে বাড়াতে হবে চিন্তা শক্তি এবং সু-পরিকল্পক ।

ব্যবসার পরিধি ও জনবল বৃদ্ধি এবং মিতব্যয়ী হতে ধৈর্য্যশীল হওয়া প্রয়োজন – আমি উদ্যেক্তা হতে চাই (৫ম পর্ব) Be an entrepreneur!

Be an entrepreneur

Advertisements

অন্যের থেকে শিখুন, কিন্তু কখনোই কপি নয়- আমি উদ্যেক্তা হতে চাই (৪র্থ পর্ব) Be an entrepreneur!

অধিক কর্মসংস্থানে বেশি নিয়োগ : More employment, more manpower

Be an entrepreneur

জ্যাক কথা বলছিলেন CNBC I NYT-এর কলামনিস্ট এন্ড্রু সরকিন এর সঙ্গে ওয়ার্ল্ড ইকোনােমিক ফোরামে। তারা কথা বলছিলেন চায়নার আমাজন, আলিবাবা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে মানুষের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে।

যদিও জ্যাক-এর ইচ্ছা ছিল, এমন এক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে ১০ মিলিয়ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের বিক্রেতারা জড়িত হয়ে পড়েন। তাদের পণ্য সরবরাহের জন্য মিলিয়ন-মিলিয়ন মানুষ নিয়ােগ করার পরিবর্তে তাদের উদ্দেশ্য ছিল থার্ড পার্টি বিক্রেতার মাধ্যমে কাজের সুযােগ সৃষ্টি করা, যা পরবর্তীসময়ে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে এর মাধ্যমে তাদের নিজেদের নিজেদের ব্যবসা করতে সাহায্য করেছে।

এভাবে অনেকের চাহিদা পূরণ করেই আলিবাবা অবশেষে মানুষের আস্থাভাজন একটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি হতে পেরেছে। তারা নিশ্চিত করলেন যে তারা নির্ভরযােগ্য, দক্ষ এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী। বিলিয়ন ডলার কামাই করে ফেললেন মানুষের আস্থার ওপর ভর করেই।

Advertisements

সামাজিক দায়িত্ব পালন : Social responsibility

Be an entrepreneur

সত্যিকারের সফল হতে হলে আপনাকে জানতে হবে কীভাবে বিরাট সামাজিক সমস্যা সমাধান করা যায়। প্রচলিত প্রথা এবং টাকা কামাইয়ের সুযােগের ওপর নির্ভর করা খুব সহজ কিন্তু আপনার কোম্পানিকে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান দিতে এটি খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে না।

স্টানফোর্ড বিজনেস স্কুলে সেমিনারে জ্যাক মা বললেন, ‘এটি শুধু টাকার জন্য নয়। যখন আপনার এক মিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে, তখন আপনি একজন ধনী ব্যক্তি হয়ে যাবেন।

যখন আপনার দশ মিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে, তখন আপনি মুশকিলে পড়ে যাবেন; আপনি ভাববেন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে এবং কোথায় বিনিয়ােগ করা যায় তা নিয়ে। যখন আপনার এক বিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে, তখন এটি আর আপনার টাকা হিসেবে থাকবে না।

এটি থাকবে সমাজের, শেয়ারহােল্ডারদের বিশ্বাস হিসেবে। মানুষ বিশ্বাস করবে যে, আপনি তাদের টাকা সরকারের চেয়ে ভালােভাবে এবং অধিক স্মার্টভাবে ব্যয় করতে পারবেন। এখন এটিই হলাে চ্যালেঞ্জ।

উপার্জনের পর সাবধানী হওয়া : Be careful after earning

Be an entrepreneur

অর্থের সঙ্গে আমাদের আচরণ বদলে যায়, যদি আমরা আরও বেশি করে তা চাইতে থাকি। কীভাবে তা চেঞ্জ হয়? একটি কারণ হলাে, এর সঙ্গে ভুলের পরিমাণ বাড়তে থাকে।

আমাদের আর্থিক চ্যাপ্টারের প্রতিটি স্টেজে গিয়ে নতুন নতুন স্ট্রাটেজি আমাদেরকে অনুসরণ করতে হয়। এবং প্রতিটি স্টেজে এসব স্ট্রাটেজি অনুসরণ না করা, আমাদের ব্যয়ভার বাড়ানাে এবং আমাদের আর্থিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে আমরা নিজেদেরকে নতুন নতুন অজুহাত দিয়ে থাকি।

উদাহরণস্বরূপ, যখন আমরা প্রথমেই একটি ব্যবসা শুরু করি, তখন আমাদের কাজের পদ্ধতিতে আমাদেরকে মিতব্যয়ী এবং হিসেবি হতে হয়। যখন রেভিনিউ আসতে থাকে।

আমরা বিনিয়ােগ এবং বিজ্ঞাপনের মাঝে ডুবে থাকি। প্রতিটি নতুন ভেঞ্চার বা কৌশলগত সিদ্ধান্তের পেছনে প্রচুর মূলধন ও ঝুঁকি জড়িয়ে পড়ে। অনেক চান্স একীভূত হয়ে যায়।

ধৈর্য্য ধরা মহৎ গুণ : Patience is a great virtue

Be an entrepreneur

নতুন জেনারেশনের লােকেরা যে-কোনাে বিষয় ভালােভাবে দেখার ধৈর্যটুকু হারিয়ে ফেলেছে। আমরা যেভাবে সােশ্যাল মিডিয়া থেকে তথ্য কাজে লাগাচ্ছি তাতে এই কম ধৈর্যের ব্যাপারে কিছু করার আছে।


আমাদের মনােযােগের আওতা গােল্ডফিশ থেকেও কম। মাইক্রোসফটের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের ফোকাস এবং মনােনিবেশ করার সময়সীমা ৯ সেকেন্ডের কম।


আমাদের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল জীবনধারা একে নাটকীয়ভাবে প্রভাবিত করেছে। যদি আমরা এ নিয়ে কিছু না করি, আমাদের জীবনে কোনাে অর্থবহ পরিবর্তন আসতে দেখা যাবে না।


তাড়াহুড়াে করে সিদ্ধান্ত নিলে অনেক বেশি অর্থের অপচয় হতে পারে। ধৈর্যের মাধ্যমে আমরা তা এড়িয়ে যেতে পারি। আমাদের জীবনে কোনাে বাস্তব অর্জন আনতে আমাদের ট্যালেন্টকে কাঠামাের মধ্যে আনাই একমাত্র উপায়। যে-কোনাে বিষয়, আর্ট বা স্কিলে দক্ষ হয়ে উঠতে এটি একমাত্র প্রয়ােজনীয় পন্থা।


মুল্যভিত্তিক প্রতিযোগিতা না করা : Do not compete on the basis of value

Be an entrepreneur

আলিবাবার সবচেয়ে বড়াে শপিং সাইট হলাে তাওবাও, যেখানে সাত মিলিয়নেরও বেশি মার্চেন্ট তাদের পণ্য বিক্রি করে থাকেন।


ই-কমার্স সাইটগুলাে কাস্টমারদের মন জয় করতে ডিসকাউন্ট প্রথা প্র্যাকটিস করে থাকে। যখন খুব কম দামে (low-balling) তাদের প্রতিযােগিতা অনেক কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে পারে, আপনাকে মনে রাখতে হবে, এটি মুনাফা মার্জিনকে খেয়ে ফেলতে পারে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে আপনার ব্যবসায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।


আমাজন বা eBay-এর মতাে আপনার যদি বিস্তর আর্থিক সম্পদ থাকে অথচ প্রতিযােগীদের চেয়ে বড়াে মার্কেট শেয়ার অর্জন করতে চান, তাহলে আপনি কখনাে দাম কমাতে যাবেন না।


আপনার সার্ভিসের মূল্যের ডিসকাউন্ট দিতে যাওয়া দীর্ঘমেয়াদে কাজ করবে না। ২০০০ সালে স্টারবাক অস্ট্রেলিয়ান কফি মার্কেটে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা দ্রুত ব্যবসা বড়াে করতে থাকে, গুরুত্বপূর্ণ লােকেশনে ৮০টি বেশি শপ খুলে। আট বছর পর এদের মধ্যে ষাটটিরও বেশি দোকান বন্ধ হয়ে যায়।


এরা কেন ব্যর্থ হলাে? অস্ট্রেলিয়ার ছােটোখাটো স্বাধীন কফি শপগুলাে তাদের পণ্য এবং সেবার মান বেশ উন্নত করে, তারা দামের প্রতিযােগিতা করেনি। যখন কফির উচ্চ টার্নওভার কিন্তু কম মুনাফা মার্জিন থাকে, তখন অধিকাংশ ব্যবসা তাঁর বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে পারে না;


উদাহরণস্বরূপ, যেসব ব্যবসা তাদের সার্ভিস এবং ইনটেলেকচুয়াল সম্পদের ওপর ফোকাস করে মূল্য কমানাে সত্ত্বেও সেসব ব্যবসা এখনও প্রতিযােগিতা করতে পারে এবং ভালাে মুনাফা অর্জন করতে পারে।


Conclusion:

ব্যবসার পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। এতে তিনটি সুবিধা হয়:

  1. অধিক সংখ্যক কাস্টমারকে সেবা দেওয়া যায়
  2. অধিক পরিমাণ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়
  3. অধিক মুনাফা বৃদ্ধিি


আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে ্আগামি পর্বে । খুব শীঘ্রই পরের পর্ব আপডেট করা হবে।

Last line: ব্যবসার পরিধি ও জনবল বৃদ্ধি এবং মিতব্যয়ী হতে ধৈর্য্যশীল হওয়া প্রয়োজন – আমি উদ্যেক্তা হতে চাই (৫ম পর্ব) Be an entrepreneur!

Advertisements

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top