যখন পুরো জাতি অমানিশার কাল পার করছে, অস্থিরতার করাল গ্রাসের কবলে তখন নারীর সম্মান রক্ষা করে চলা কঠিন।
সম্মান মানুষের মূল্যবান সম্পদ। সে নারী হোক অথবা পুরুষ। তবে সম্মানহানির বিষয়টা নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদা। আপাতঃ দৃষ্টিতে নারীর সম্মান স্পর্শকাতর, অল্প আঁচেও যত্নে গড়া ঐশ্বর্যে দাগ লেগে যাবার সম্ভবনা রয়েছে। শিশু হতে বৃদ্ধা সকলেরই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ। কারণ তারা ঘরেও নিরাপদ না।
![]() |
Rape! Where are women safe? |
ধর্ষণ ! নারীরা নিরাপদ কোথায় ?
Rape! Where are women safe?
বর্তমান সমাজে কেউ কাউকে মানতে চায়না। আইনের প্রতি কারোর আনুগত্য বা শ্রদ্ধা নেই। শান্তির কথা না ভেবে সকলেই যেন ধর্মহীনতার আপাতঃ মিষ্ট স্বাদের এক নেশায় মেতেছে।
ধর্ষণ ! সামাজিক কলংক : Rape! Social stigma:
ধর্ষণ, সমাজের এক নৈমিত্তিক অলংঘনীয় নির্ঘন্ট। দেশের নিরীহ নারীসমাজ প্রতিনিয়ত হচ্ছে প্রতারিত, নির্যাতিত, ধর্ষিত। সাথে ধর্ষিত হচ্ছে পুরো জাতির বিবেক।
কারা ধর্ষিত হচ্ছে ? Who is being raped?
ধর্ষণ কেন করা হয় ? Why is rape?
কিশোরী হতে তরুণী এই সময়টাই নারীদের পুরুষ সঙ্গী বেশি থাকে। স্কুল কলেজের বন্ধু বা বয়ফ্রেন্ড নামক মরিচিকার কবলে পড়ে তারা। হয়তো নিজে থেকে অথবা শয়তানের প্ররোচনায়। কেউ করে আপন ইচ্ছায় সম্মান বিনষ্ট কেউবা হয় ধর্ষিত।
মেয়েরা নিরাপদ কোথায় ? Where are the girls safe?
আজকের সমাজে মেয়ে বাবার কাছে নিরাপদ নয়, ভাইয়ের কাছে নিরাপদ নয়, চাচা আপত্তিকর কাজ করে, শিশু আপত্তিকর স্পর্শের সম্মুখীন হয়, ধর্ষিত হয়। কোথায় যাবে নারী?
একটা উদাহরণ দিই, আপনি বাসায় একটি টিউটর রেখে আপনার মেয়েকে পড়াচ্ছেন। আপনি বাসায়ই আছেন কিন্তু টিভি সিরিয়াল বা ফোনে মেতে অথবা পাশের বাসার মহিলার সাথে গল্পে মেতে। যদি আপনার সন্তানের সাথে কোন অন্যায় হয় তবে আপনি মা হবার যোগ্যতা রাখেন না।
ইসলামের দৃষ্টিতে নারী : The dignity of women in Islam
ইসলাম নারীকে সম্মানিত করেছে। শালীনতা নারীর অঙ্গীকার। কিন্তু কি ঘটে আজকাল সমাজে! নারীকে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। কত কবি, লেখক সুক্ষ্মতার সাথে নারীদের সচেতন হতে বলেছেন।
ইসলামে পর্দার বিধান রয়েছে। পুরুষদের প্রতি কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও কলুষিত সমাজ টা আলোর পথটা বেছে নিতে চায় না।
ইসলামে সু-স্পষ্টভাবে ধর্ষণ ব্যভিচারের শাস্তির কথা উল্লেখ আছে। যদি কোনো পুরুষ জোর পুর্বক নারীকে ধর্ষণ করে তবে শাস্তি ভোগ করতে হবে পুরুষকে। কিন্তু সেই ধর্ষণে যদি নারীর সম্মতি থাকে তবে উভয়ই জেনার দায়ে শাস্তি ভোগ করবে।
কিছু নারী রয়েছে ব্যতিক্রম যারা আড়ালে থাকতে চায় কিন্তু তাদের কোন উপায় নেই। তাদের বেরোতে হয় কর্মক্ষেত্রে। না চাইলেই মিশতে হয় পুরুষের সাথে। কলিগ বা বসের লালসার স্বীকার হয়েও তারা মুখ বুঝে কর্ম টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যায়। তবে কি আজীবন তারা এভাবেই সয়ে যাবে ?
না তারা এসব মুখ বুজে সইবে না। আত্মনির্ভরশীল নারী কর্ণধার দের রক্ষাকর্তা। রাতে রাস্তায় একা চলাচলেও তার ভয় পাওয়া চলবেনা। তবে কখনোই সে একজন পুরুষকে বিশ্বাস করতে পারে না। কিন্তু এতকিছু জানার পরও আমরা বিষয়গুলো নিয়ে মাথা ঘামাই না যতখন না আমরা আ্যবিউজের শিকার হই।
Conclusion:
নারীর নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায় চিন্তাধারা বদলানো। কারণ সে যখন সম্পূর্ণ একা। নিজেকে কখনোই ভিক্টিম ভাবা যাবে না আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। এবং সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়াও কাছে ছোটখাটো অস্ত্র রাখা ভালো মরিচের গুড়ো,বডি স্প্রে রাখা জরুরী।