মশলা হিসেবে বহুল পরিচিত ও ব্যবহৃত এই কন্দজ জাতীয় সবজিটি সারাবছর পাওয়া যায়। অথবা সারাবছর সংরক্ষণ করা যায়। ফেব্রুয়ারী হতে মার্চে বীজতলায় বীজ বপণ করে এবং এপ্রিলে ৪০-৪৫ দিনের চারা রোপণ করে আগাম পেঁয়াজ চাষ করা হয়। যদি ফলন ভালো হয় তবে এর উৎপাদন হেক্টর প্রতি প্রায় ২২ টন বলে ধারণা করা হয়।
জেনে নিন পেঁয়াজের বহু গুণ ও ব্যবহার
পেঁয়াজে বিদ্যমান উপাদান সমুহ
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের ধারণা প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা পেঁয়াজে-
- কার্বোহাইড্রেট -১১.০ গ্রাম
- প্রোটিন -১.২ গ্রাম
- আঁশ-০.৬ গ্রাম
- রিবোফ্লাভিন-.০১ মিগ্রা.
- নিকোটিনিক আ্যাসিড-০.৪ মিগ্রা.
- লোহা-০.৭ মিগ্রা.
- ক্যালসিয়াম-১৮০ মিগ্রা.
- ফসফরাস-৫০ মিগ্রা.
- থায়ামিন-.০৮ মিগ্রা.
- ভিটামিন-‘সি’-১১ মিগ্রা
পেঁয়াজের ঝাঁজ, রোগ নিরাময়ই কাজ । চলুন দেখে নিই
পেঁয়াজের ঔষুধী গুণ
১. পুরুষত্ব বৃদ্ধি করে:
২. স্মরণশক্তি বাড়ে:
৩. অজীর্ণতা নিরসনে:
পেঁয়াজ অজীর্ণ সারায়। পেঁয়াজের রসের সাথে করলার রস মিশিয়ে ছোট সাইজের কাপের ১/২ কাপ খেলে ভীষণ রকমের অজীর্ণও সেরে যায়।
৪. শিশুদের ঘুমের সমস্যায়:
মাঝেমাঝে শিশুরা ঘুমের সমস্যায় ভোগে। যেসব শিশুদের ঘুম কম এবং রাত্রিতে ঘুম না আসার জন্য কান্নাকাটি করে তাদের ঘুমের ঔষুধ পেঁয়াজ।
৫. কৃমি দূর করে:
৬. ডাইরিয়া :
৭. মাথাব্যথা :
৮. দাদ ও চুলকানিতে:
৯. ফোঁড়া:
সেদ্ধ পেঁয়াজের পুটলিস বাঁধলে কাঁচা ফোঁড়া পেকে যায়।
১০. টিউমার:
১১. চুলের সমস্যায়:
চুল পড়া সমস্যায় বা চুলের বৃদ্ধি কমে গেলে বা অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে পেঁয়াজের রসে মধু মিশিয়ে চুলে মালিশ করতে হবে।
এমনকি উঁকুনের হাত হতে বাঁচতেও পেঁয়াজের রসের জুড়ি নেই।
১২. মৌমাছির কামড়ে:
বিছে, বোলতা ও মৌমাছি কামড়ালে আক্রান্ত স্থানে পেঁয়াজ বাটা প্রলেপ লাগাতে হবে।
১৩. মূর্চ্ছা বা হিস্টিরিয়ায়:
পেঁয়াজের রস শুঁকলে সুফল পাওয়া যাবে।
১৪. কানব্যাথা:
পেঁয়াজের রস হালকা গরম করে কানে দুতিন ফোঁটা ফেলতে হবে।
১৫. অর্শ রোগে:
পেঁয়াজ কুচিয়ে টক দই দিয়ে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
সাবধানতা:
পেঁয়াজ কেটে রেখে বাসী না করে টাটকা খেয়ে নেওয়া উচিৎ। পেঁয়াজ বায়ুনাশক। কিন্তু রান্না করা পেঁয়াজ বায়ুকারক। কাঁচা পেঁয়াজ বায়ু সৃষ্টি করে। কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে পেঁয়াজ কেটে রাখলে পেঁয়াজের গুণ নষ্ট হয়ে যায়।