সকল চাকরির জন্য জীববৃত্তান্ত আবশ্যক চাকরির আবেদন করতে হলে অবশ্যই চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানে জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে হয়। ইংরেজিতে একে বলে কারিকুলাম ভিটাই (সিভি)।
বহু জীবনবৃত্তান্তের ভিড়ে উপযুক্ত জীবনবৃত্তান্তই বেছে নেয় প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ। সেজন্য জীবনবৃত্তান্ত হতে হয় ব্যতিক্রমধর্মী ও অভিনব। অনলাইনের এ যুগে ইন্টারনেটে সার্চ করলে হরেক রকম জীবনবৃত্তান্তের নমুনা বা ফরম্যাট খুঁজে পাওয়া যায়।
জীবনবৃত্তান্ত লেখার সঠিক নিয়ম: নমুনা PDF, MS Word ও Doc (The correct rules for writing a resume With PDF and Ms. Word)
অভিজ্ঞ কোনো চাকরিজীবী তার জীবনে কী ধরনের জীবনবৃত্তান্তের ফরম্যাট ব্যবহার করেছেন তা সংগ্রহ করতে পারলে ভালো হয়। কেননা অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের জীবনবৃত্তান্তে অনেক দিক থাকে যেগুলো সহজে আমাদের চিন্তায় নাও আসতে পারে।
মনে রাখতে হবে, চাকরিদাতা প্রার্থীকে প্রথম পছন্দ করেন জীবনবৃত্তান্ত দেখে। নিয়োগদানকারী নিয়োগপ্রার্থীকে সাক্ষাৎকারে ডাকবেন কি ডাকবেন না তা অনেকটা নির্ভর করে জীবনবৃত্তান্তের উপর।
জীবনবৃত্তান্ত কত প্রকার? ( How many types of resumes?)
জীবনবৃত্তান্ত
মূলত দুই প্রকার (Biographies are basically of two types)
- একাডেমিক জীবনবৃত্তান্ত (Academic CV)
- প্রফেশনাল
বা পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত (Professional CV)
একাডেমিক জীবনবৃত্তান্ত সাধারণত দেশে বা বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য প্রয়োজন হয়। আর প্রফেশনাল বা পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত প্রয়োজন হয় চাকরির আবেদনের সময়ে। এখানে আমরা প্রফেশনাল জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে আলোচনা করব।
জীবনবৃত্তান্তের মৌলিক বিষয় (The basics of biography)
একটি জীবনবৃত্তান্তে যে মৌলিক বিষয়গুলো থাকে তা হলো–
- ছবি, নাম, যোগাযোগোর ঠিকানা:
- মা–বাবার নাম, পরিচয়, পেশা;
- একাডেমিক ডিগ্রি, রেজাল্ট, প্রতিষ্ঠানের নাম, পাসের সাল, প্রফেশনাল কোর্সের বৃত্তান্ত (যদি থাকে);
- সহশিক্ষাক্রমিক কাজ ও অর্জনের বিবরণ;
- অভিজ্ঞতার বিবরণ (যদি থাকে) এবং
- দুইজন প্রত্যয়নকারীর নাম, পরিচয় এবং যোগাযোগের ঠিকানা।
জীবনবৃত্তান্ত
বেশি বড় না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কেননা প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরির জন্য অনেক জীবনবৃত্তান্ত পেয়ে থাকে।
জীবনবৃত্তান্ত বেশি বড় হলে প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ তা পড়ার সময় পায় না অনলাইনে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে সিভি পাঠনো যায় কিংবা অনেক প্রতিষ্ঠান ই–মেইলে সিভি পাঠানোর কখা উল্লেখ করে থাকে।
অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকরির বিজ্ঞপ্তি না থাকলেও জীবনবৃত্তান্ত তাদের ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে রাখা যায় যেন পদ শূন্য হলেই তারা জীবন বৃত্তান্ত থেকে পছন্দের প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য আহবান জানাতে পারে।
আদর্শ জীবনবৃত্তান্তের
বৈশিষ্ট্য (Characteristics of the ideal resume)
- সকল তথ্য স্পষ্ট করে দেওয়া থাকবে;
- কোনো প্রকার বানান ভুল থাকবে না;
- কোনো বিষয় নিয়ে সংশয় থাকবে না;
- যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত হবে;
- অল্প কথায় শিক্ষাগত জীবনের সব অর্জনের কথা বলা থাকবে;
- অর্জিত দক্ষতাগুলোর কথা উল্লেখ থাকবে এবং
- ভাষার ব্যবহার হবে সাবলীল।
কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের
সাথে সুসম্পর্ক ( Good relationships with coworkers at work)
সকলের সাথে সকলের ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা আমাদের সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার অংশ। ভালো আচরণ করে সবার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি।
সকলের সাথে সুসম্পর্ক থাকলে বিপদে–আপদে সবার সহায়তা লাভ করা যায়। বিপদে পড়লে আমাদের আত্মীয়–স্বজন, বন্ধু–বান্ধব এগিয়ে আসেন। কেননা স্বাভাবিকভাবেই তাদের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক থাকে।
ঠিক একইভাবে কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সাথে অবশ্যই সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত। সুসম্পর্কের
ফলে অনেক সময়
অনেক ভালো চাকরির সন্ধান পাওয়া যায়, তেমনি চাকরিরত অবস্থায় কর্মক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।
ধরা যাক, তুমি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি কর। কোনো এক সময় ফোন এলো তোমাকে এখনি বাসায় যেতে হবে। এদিকে অফিসে খুব গুরুত্বপূ্র্ণ একটি কাজ করছ তুমি।
আজকের মধ্যেই তা শেষ করতে হবে, নইলে অফিস বড় সমস্যায় পড়বে। তোমার বাসায় যাওয়াও জরুরি।
কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চাইলে তারা এমন বলতে পারেন যে কাজটি যদি তোমার কোনো সহকর্মী করে দেন তবেই তুমি ছুটি নিয়ে বাসায় যেতে পারবে।
এখন তোমার সাথে যদি সহকর্মীদের ভালো সম্পর্ক থাকে তাহলে অবশ্যই তারা তোমার জন্য এগিয়ে আসবেন। তোমার কাজটি ঐদিনের জন্য তারা সবাই মিলে করে দেবেন।
তুমিও নিশ্চিত মনে বাসায় যেতে পারবে। এসব কারণে সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা খুব জরুরি। সহকর্মী বলতে ঊর্ধ্বতন, অধস্তন সবাইকেই বোঝানো হচ্ছে।
সহকর্মীদের সাথে সম্পর্ক ভালো না হলে বেশি দিন কোথাও কাজ করা সম্ভব নয়। কারণ সব অফিসই একটি দলগত কাজের জায়গা। সেখানে একা একা অনেক কিছু করে ফেলা সম্ভব নয়।
সকলের সহায়তা নিয়েই একত্রে কাজ করে সামষ্টিক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। এতে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক উভয় প্রকার সাফল্য অর্জন সম্ভব।
ক্রিকেট খেলায় যে দল জয়ী হয় সে দলের ক্যাপ্টেন প্রায়ই বলে থাকেন, এটি একটি দলগত প্রচেষ্টা। অর্থাৎ দলের ১১ জন খেলোয়াড়ের সামগ্রিক প্রচেষ্টায় জয় অর্জিত হয়েছে।
পরস্পর সম্পর্কহীন ১১ জন দক্ষ খেলোয়াড়ের একটি দলের চেয়ে পরস্পর সুসম্পর্কের বাঁধনে আবদ্ধ সাধারণ মানের ১১ জন খেলোয়াড়ের একটি দল অনেক শক্তিশালী।
একই ভাবে, কর্মীদের মাঝে পরস্পর সম্পর্ক ভালো হলে অনেক জটিল কাজও সহজ হয়ে যায়। বড় বড় প্রতিষ্ঠানে সহকর্মীদের মাঝে সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময় পর পর দূরে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে তাদের অফিসের কাজের বাইরে দলগত কাজ দেওয়া হয়। হতে পারে সেটা কোনো খেলা। একসাথে কাজ করতে বা খেলতে গিয়ে তাদের সম্পর্ক নিবিড় হয়।
অফিসে ফিরে দৈনন্দিন কাজে এর প্রভাব পড়ে। আধুনিক ব্যবসায় প্রশাসনে সহকর্মীদের পরস্পরের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কৌশল (Strategies for maintaining good relations with colleagues)
সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হলে যা যা করা প্রয়োজন:
- দেখা হলে কুশল বিনিময় করা;
- কোনো সহকর্মী কাজ করতে গিয়ে কোনো সমস্যায় পড়লে নিজ থেকে তাকে সাহায্য করতে চাওয়া;
- ৩মাঝে মাঝে সহকর্মীদের সাথে চা খেতে খেতে কাজের বাইরের আলাপ করা;
- ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর বিষয়ে আলাপ এড়িযে যাওয়া;
- এক সহকর্মীর বিষয়ে অন্য সহকর্মীর কাছে সমালোচনা না করা;
- কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে অভিজ্ঞ সহকর্মীদের কাছে বিনীতভাবে সাহায্যের অনুরোধ জানানো;
- সহকর্মীদের কেউ রেগে গেলে নিজে না রেগে তাকে শান্ত করা;
- পেশাগত বা ব্যক্তিগত যেকোনো বিপদে এগিয়ে আসা এবং
- অবশ্যই সবার সাথে সব সময় ভালো ব্যবহার করা।
সহকর্মীদের সাথে
সুসম্পর্ক থাকার
উপকারিতা (The benefits of having a good relationship with colleagues)
- সর্বদা তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায়;
- কঠিন কাজের চাপে পড়লে তাদের সহায়তা নেওয়ার পথ খোলা থাকে;
- বিপদে–আপদে সহকর্মীরা পাশে এসে দাঁড়ান;
- জরুরি ছুটির প্রয়োজন হলে সহকর্মীরা বাড়তি কাজ করে সহায়তা করেন এবং
- কর্মক্ষেত্রে সন্তুষ্টি লাভ হয়।
which blogger theme are you using brother please let me know