কোরআনের আলোকে জ্বিনের সৃষ্টি এবং জ্বিনের অস্তিত্ব (Proved by the Qur’an: The creation and existence of jinn)

জিন ও মানুষ আল্লাহর অনন্য সৃষ্টি। মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে মানুষের কিছু তথ্য জানা আছে। কিন্তু জিন সম্পর্কে বলতে গেলে তেমন কিছু জানা নেই। তাই মানব মনে জিন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন উঁকি-ঝুকি মারে।

জিন কোথা থেকে আসল, কিভাবে আসল, জিনের উপাদান ও বৈশিষ্ট্য কি, তাদের সৃষ্টি ব্যতিক্রমধর্মী কেন? তারা তাে অদৃশ্য। তা সত্ত্বেও তাদের আছর ও আক্রমণ দৃশ্যগগাচর। তাহলে, জিন কি মানুষের একতরফা ক্ষতি সাধন করবে আর মানুষ তাদের অসহায় শিকারে পরিণত হতে থাকবে।

জিনের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য মানুষের কি কোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই। জিন আল্লাহর এক সৃষ্টি রহস্য। এখন আমরা এ সম্পর্কে ধারাবাহিক আলােচনা করবাে।

কোরআনের আলোকে জ্বিনের সৃষ্টি এবং জ্বিনের অস্তিত্ব (Proved by the Qur’an: The creation and existence of jinn)

Existence of jinn

আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির দু’হাজার বছর আগে জিন সৃষ্টি করেছেন। আবদুল্লাহ বিন আব্বাস থেকে বর্ণিত, জমীনের অধিবাসী ছিল জিন। আর আসমানের অধিবাসী ছিল ফেরেশতা। নীচ আসমানের চাইতে উপরের আসমানের ফেরেশতারা অধিকতর ইবাদত, দোআ, নামাজ ও তাসবীহতে ব্যস্ত থাকে


ইবনে আব্বাস থেকে আরাে বর্ণিত। আল্লাহ জিন জাতির আদি পুরুষ সুফিয়াকে আগুনের জ্বলন্ত শিখা থেকে সৃষ্টি করেন। এরপর আল্লাহ বলেন : তুমি ইহা প্রকাশ কর। তখন সে ইহা প্রকাশ করে বলল, আমরা যেন দেখি এবং আমাদেরকে যেন কেউ না দেখে। আল্লাহ তার সে ইচ্ছা কবুল করেন।


এরপর তার বংশধরকে জমীনে পাঠান। তাদের মধ্যে ইউসুফ নামক এক ফেরেশতা ছিল। তারা তাকে হত্যা করল। তখন আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে মওজুদ ফেরেশতা বাহিনীকে পাঠান। তাদের নাম ছিল জিন। ইবলিশও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।


ফেরেশতা বাহিনীর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার। তারা জমীনের অধিবাসীদেরকে পরাজিত করল এবং সাগরের দ্বীপসমূহে তাদেরকে নির্বাসিত করল। তখন ইবলিশসহ অন্যান্য ফেরেশতা বাহিনী জমীনে বাস করা শুরু করল। তারা এখানে বাস করা পছন্দ করল।


মােজাহিদ থেকে বর্ণিত। ইবলিশ বলে, জমীন এবং দুনিয়ার আসমানের উপর ছিল আমার কর্তৃত্ব। অপরদিকে আল্লাহর কাছে ঊর্ধ্বজগতে লেখা ছিল যে, তিনি জমীনে নিজ খলীফা সৃষ্টি করবেন। ইবলিশ তা দেখেছে যা অন্য কোন ফেরেশতার পক্ষে দেখা সম্ভব হয়নি।


ইবলিশ তখনই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সে কখনও আদমকে সাজদা করবে না। ইবলিশ অন্যান্য ফেরেশতাদেরকে বলেছে যে, এই খলিফারা দুনিয়ায় ফেতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে। তাই আল্লাহ যখন ফেরেশতাদের কাছে মানুষ-খলিফা সৃষ্টির ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তখন ফেরেশতারা বলে যে, আপনি কি এমন কিছু সৃষ্টি করবেন যারা জমীনে ফেতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে। যেমন জিনেরা ইতিপূর্বে করেছিল, তারা ইতিপূর্বে তাদেরই এক ব্যক্তি ইউসুফকে হত্যা করেছিল।


আল্লাহ তাদের প্রশ্নের জবাবে বলেন : “নিশ্চয়ই আমি যা জানি, তােমরা তা জান না।” এরপর আল্লাহ আদম (আঃ)- কে সকল কিছুর নাম শিক্ষা দেন এবং ফেরেশতাদেরকে সে সকল নাম বলার জন্য পরীক্ষা করেন। ফেরেশতারা অপারগতা প্রকাশ করায় আদম (আঃ)-কে নির্দেশ দেন। তিনি নাম বলতে সক্ষম হন। তাদের উপর আদমের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়।


জিনের অস্তিত্ব আল্লামা শেখ তকি উদ্দিন ইবনে তাইমিয়া বলেছেন, মুসলমানের কোন সম্প্রদায় জিনের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে না। অনুরূপ অমুসলমানরাও তা অবিশ্বাস করেনা। কেননা, জিনের তথ্যাবলী নবীগণ থেকে অব্যাহতভাবে বর্ণিত হয়েছে এবং সাধারণ ও অসাধারণ সকল লােক সে সম্পর্কে ওয়াকিফহাল।

একজন সফল উদ্যোক্তার কি কি গুনাবলি থাকে ? (What are the qualities of a successful entrepreneur?)

অজ্ঞ কিছু সংখ্যক দার্শনিক ও গােমরাহ ব্যক্তি ছাড়া কেউ তা অস্বীকার করে না। পৃথিবীর নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ লােক জিনকে স্বীকার করে। ইহুদী এবং খ্রীস্টানরাও জিনকে স্বীকার করে। জোহমিয়া ও মােতাজেলা সম্প্রদায় জিনকে স্বীকার করে না। অন্যান্য সকল কাফের-মােশরেকরাও জিনের অস্তিত্ব স্বীকার করে।


যারা জিনের অস্তিত্ব স্বীকার করে না তারা মুসলমান হতে পারে না। কেননা, জিনের অস্তিত্বের কথা স্বয়ং কোরআন ও হাদীস দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত। পবিত্র কোরআনে মহানবী (সঃ)-এর কাছে জিনদের কোরআন শুনার ঘটনা বর্ণিত আছে। জিনেরা আগে আসমান থেকে কর্তব্যরত ফেরেশতাদের কিছু কথাবার্তা চুরি করে শুনত এবং পৃথিবীতে এসে লােকদেরকে বিভ্রান্ত করত।


যখন কোরআন নাজিল হল, তখন কোরআনের সর্বাধিক হেফাজতের লক্ষ্যে জিনদের আসমানী কথা চুরি করে শােনা বন্ধ করে দেয়া হল। তারা বুঝতে পারলনা যে, তাদের এ সুযােগ বন্ধের পেছনে কারণ কি?


তারা নিজেরা বলাবলি করল “আমরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করছি, আমরা দেখতে পেয়েছি যে, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিণ্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ। আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শুনার জন্য বসতাম। এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ডকে ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে। আমরা জানি না, পৃথিবীবাসীর পালনকর্তা তাদের কল্যাণ সাধনের ইচ্ছা রাখেন রাখেন কিনা।” -(সূরা জিন) |


“আল্লাহ জিনদের কোরআন শােনা সম্পর্কে বলেছেনঃ “বলুন, আমার প্রতি অহী নাজিল করা হয়েছে যে, জিনদের একটি দল কোরআন শুনেছে। এরপর তারা বলেছে, আমরা আশ্চর্য কোরআন শুনেছি যা সৎপথ দেখায়। আমরা তা বিশ্বাস করেছি ও ঈমান এনেছি। আমরা আর কখনও আমাদের রবের সাথে কাউকে শরীক করবাে না।” -(সূরা জিন :১-৩)


এ প্রসঙ্গে আল্লাহ আরাে বলেন : “আমি যখন একদল জিনকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম এবং তারা কোরআন শুনছিল। তারা সেখানে উপস্থিত হয়ে পরস্পরকে বলল, চুপ থাক। কোরআন শােনার পর তারা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে সতর্ককারীরূপে ফিরে গেল।


তারা বলল, হে আমাদের সম্প্রদায়! আমরা এমন এক কিতাব শুনেছি যা মূসার পরে অবতীর্ণ হয়েছে এবং তা আগের সকল কিতাবের সত্যায়ণ করে, সত্য ও সরল পথের দিকে পরিচালিত করে। হে আমাদের সম্প্রদায়! তােমরা আল্লাহর দিকে আহবানকারীর কথা মেনে নাও এবং তাঁর প্রতি ঈমান আন। আল্লাহ তােমাদের গুনাহ মাফ করবেন এবং তােমাদেরকে কষ্টদায়ক আজাব থেকে রক্ষা করবেন।” -(সূরা আহকাফ-২৯-৩১)।


কোরআনের এ প্রকাশ্য বর্ণনা থাকা সত্ত্বেও জিনকে অস্বীকারকারী ব্যক্তি কিভাবে মুসলমান থাকতে পারে?


একদল গােমরাহ লােক কোরআনে বর্ণিত জিনকে জংলী মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তাদের দৃষ্টিতে জিন বলতে মূলতঃ অশিক্ষিত বন্য মানুষকে বুঝানাে হয়েছে, এর আর কোন অর্থ নেই। অথচ, সূরা দিনের প্রথম তিন আয়াতে আল্লাহ রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে তাঁর কাছ থেকে জিনদের কোরআন শােনার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।


জিনরা কখন মহানবীর কাছ থেকে কোরআন শুনেছে তিনি নিজেও তা জানতেন না। যদি তারা বন্য-মানুষ হত, তাহলে, তিনি অবশ্যই তাদেরকে দেখতেন। এর দ্বারা তাদের ভ্রান্ত চিন্তার খােলস উন্মোচিত হয়ে যায়।


অবশ্য পরবর্তীতে জিনেরা মহানবীর কাছে এসেছে এবং কোরআন শুনেছে। তাদের অনুরােধে তিনি তাদেরকে দীন ও কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন।


জিনের শ্রেণিবিভাগ : Classification of jinn

Existence of jinn


জিনকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। জাতি হিসেবে বলা হয় জিন জাতি। ক্ষতিকর জিনকে ভূত-প্রেত বলা হয়। মহিলা জিনকে পরী বলা হয়। অধিক শক্তিধর ও দাপট বিশিষ্ট জিনকে দৈত্য-দানব বলা হয়। নেক কাজ, যেমন নামাজ, রােজা, হজ্জ ও জিকর-আযকারে বাধাসৃষ্টিকারী জিনকে শয়তান বলা হয়।


দুষ্ট জিনকে খান্নাসও বলা হয়। ইবলিশ হচ্ছে জিনের সরদার। নেককার জিনের সংখ্যাও প্রচুর। তাদেরকে শয়তান বলা হয় না। নাফরমান জিনেরা ইবলিশেরই সন্তান। অনুরূপভাবে কট্টর নাফরমান ও বেশী দুষ্ট জিনেরাও ইবলিশের সন্তান। তারাই তার সহযােগী।


সকল খারাপ ও মন্দ কাজে তারা তার সাহায্য সহযােগীতা করে। আল্লামা জাওহারী বলেছেন, সকল খােদাদ্রোহী ও নাফরমান এবং ক্ষতিকর মানুষ, জিন ও পশুকে শয়তান বলা হয়। একারণে আরবরা সাপকেও শয়তান বলে থাকে।


ইবনু আবিদ দুনিয়া ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন, ইবলিশ যখন ফেরেশতাদের সাথে ছিল তখন তার নাম ছিল আযীল। সে ডানা বিশিষ্ট ৪ ফেরেশতার একজন ছিল। আল্লাহর লা’নতের পর সে রহমত থেকে বঞ্চিত হল এবং তার নাম হল ইবলিশ। কেননা, ইবলিশ মানে রহমত থেকে বঞ্চিত।


আবুল মােসান্না থেকে বর্ণিত। ইবলিশের আগের নাম ছিল নায়েল। আল্লাহর গযব নাজিলের পর তার নাম হল শয়তান। ইবনু আব্বাসের এক বর্ণনায় এসেছে, ইবলিশ যখন নাফরমানী করল, তার উপর লানত বর্ষিত হল এবং সে শয়তান হয়ে গেল।


আবুশ শেখ তাঁর আজামা কিতাবে লিখেছেন : ওহাব, ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আল্লাহ দোজখের আগে বেহেশত, ক্রোধের আগে দয়া, জমীনের আগে আসমান, তারকার আগে চাঁদ-সূর্য, রাতের আগে দিন, স্থলের আগে সাগর, পাহাড়ের আগে জমীন, জিনের আগে ফেরেশতা, মানুষের আগে জিন এবং নারীর আগে পুরুষ সৃষ্টি করেছেন।


জিনের অস্তিত্ব : (The existence of jinn)

Existence of jinn


জিনের অস্তিত্বের বাস্তব সত্যতার অগণিত নজীর আছে। জিন-ভূত তাড়ানাের কাজে পেশাদার কবিরাজ ও চিকিৎসকদের অধীন জিন থাকে। তারা এই চিকিৎসার কাজে সেগুলােকে ব্যবহার করে। যদিও একাজে জিনের সাহায্যে চাওয়া কোরআন বিরােধী, তথাপি তারা একাজ করে থাকে।


যারা তাদের কাছে জিন, দেখার আবদার করেছে সে রকম প্রত্যক্ষদর্শীরা আমাকে বলেছেন, তারা রাত্রে এক ঘরে বসা। কবিরাজ তার জিনকে ডাকলেন। জিন আসল। কিন্তু ঘরকে ভীষণ এক নাড়া দিল। ঘরের উপর যে গাছটি ছিল তাকে যেন উপড়ে ফেলার মত কঠোর ঝাকি দিল। আলাে জ্বালানাে নিষিদ্ধ করা হল। তারপর জিন ঘরের ভেতর ঢুকল। অন্ধকারের মধ্যে হাত দিয়ে দেখা গেল তার শরীরে বিড়ালের পশমের মত লােম রয়েছে।


ভারতের প্রখ্যাত মাদ্রাসা দেওবন্দ। সে মাদ্রাসায় অধ্যয়নকারী এক জিন ছাত্র মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থাকত। একদিন তাকে উপরতলা থেকে নীচের আঙ্গিনায় শুকানাের জন্য দেয়া কাপড় লম্বা-হাত দিয়ে নিতে অন্যরা দেখল। ঘটনা প্রকাশের পর পরই ছাত্রটি নিরুদ্দেশ হয়ে গেল।


সাদা পােশাক ও পাগড়ী পরিহিত মােসল্পীকে গভীর রাতে মসজিদে নামাজরত দেখা গেল। কিন্তু পরক্ষণেই আর নেই। এছাড়া একদিন জিনেরা দোআ-দরুদ পড়ল এবং মিষ্টি খেল। যে মসজিদে তারা মিলিত হয়েছে, সে মসজিদের ইমাম সাহেবকেও তারা মিষ্টি দিল। সে ইমাম সাহেব আমার আত্মীয়। তাঁর কাছেই আমরা এ দুটো ঘটনা শুনেছি।


এছাড়াও তিনি একদিন সন্ধ্যায় এক বিজন মাঠ অতিক্রমের সময় যেখানে কিছু গাছ-গাছালি ছিল, জংলা জায়গা, সেখানে একটা মুরগী অনেকগুলাে বাচ্চা নিয়ে তার পথে বসে আওয়াজ দিচ্ছিল। তিনি বিভিন্ন দোআ পড়ার পর সেগুলাে চলে গেল।


আমার আরেক নিকটাত্মীয়া জানিয়েছেন, তার বাড়ীতে ভাের বেলায় তিনি বহুদিন বাঁশঝাড়সহ অন্যান্য গাছের মাথায় বেশ কিছু শিয়ালকে চলাচল করতে দেখেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সেগুলাে অস্তিত্বহীন হয়ে যায়।


আমার আরেক আত্মীয় সন্ধ্যায় ঘরে ফিরার পথে মাঠে এক গাভী এসে হাঁ করে তাকে বলে, ‘আমার পেটে প্রবেশ কর। তারপর গাভীটি চলে যায়। এতে সে আত্মীয়টি ভয় পেয়ে যায়।


আমার আরেক বন্ধু এক মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। তার কাছে এক জিন ছাত্র পড়ত। তিনি জানেন না যে, কে সে ছাত্র। কিন্তু ছাত্রটির জিন ভাই শিক্ষকের ঘরে এসে অদৃশ্য থেকে বলেছে যে, আমার এক ভাই আপনার ছাত্র।


তারপর তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিত চিঠি বিনিময় হয়। হঠাৎ করে তার সামনে একটি চিঠি পড়ত। তিনি তা পড়তেন। তারপর তিনি একটা চিঠি লিখে ঝুলিয়ে রাখতেন। জিনটি এসে নিয়ে যেত। মূলতঃ জিনটি ঐ শিক্ষককে খুব শ্রদ্ধা করত। শিক্ষক নিজেই আমাকে একথা বলেছেন।


ভূতে ধরেছে এমন রােগীর সংখ্যা মােটেই কম নয়। কম-বেশী প্রত্যেক এলাকায় তার অস্তিত্ব রয়েছে। জিন-ভূত না থাকলে তা কিভাবে মানুষকে ধরে? ভূতে ধরার পর রােগী বকাবকি করে এবং এমন সব তথ্য প্রকাশ করে যা স্বভাবতই তার পক্ষে প্রকাশ করা অসম্ভব।


ছােট বালক-বালিকা জিন-ভূতের প্রভাবে রােগী হলে তারা বয়স্ক লােকদের মত বিজ্ঞ কথা-বার্তা বলে। এগুলাে কি জিনের অস্তিত্বের প্রমাণ নয়?


এমনও দেখা গেছে, ভূতগ্রস্তরােগী হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে কিংবা ওপরে উঠে গেছে এবং গাছের বা ঘরের ছাদে সিঁড়ি ছাড়াই উঠে গেছে। এটা কিভাবে সম্ভব হয়? জিনের সহযােগীতা ছাড়া তা হতে পারে না।


হযরত সােলায়মান (আঃ) জিনদেরকে দিয়ে মসজিদে আকসা নির্মাণ করেছেন। কোরআনে তার বর্ণনা রয়েছে।


সৌদী আরবের জেনারেল মুফতী শেখ আবদুল আযীয বিন বায (রঃ) এক ভূগ্রস্ত রােগী থেকে একজন মােশরেক জিনকে তাড়িয়েছেন। জিনটি নিজেই তাঁর কাছে এ স্বীকারােক্তি করেছে। এ জাতীয় আরাে অগণিত প্রমাণ রয়েছে।


Source of existence of jinn:

https://en.wikipedia.org/wiki/Jinn

জ্বিন Wiki

https://www.vice.com/en/article/9k7ekv/what-are-jinn-arab-spirits

https://researchguides.ben.edu/angels-jinns

https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC1181833/

https://destinationksa.com/21-facts-about-djinns/

https://www.quora.com/How-do-you-communicate-with-the-jinn

https://en.wikipedia.org/wiki/Al-Jinn

https://www.quranexplorer.com/blog/Education-In-The-Light-Of-Sunnah-And-Qura’an/Reality-of-Jinn-accordin-to-the-Quran-and-Hadith


Conclusion:

জিন যে বাস্তব সত্য একথা কোরআন মজীদে একাধিক জায়গায় এসেছে। আল্লাহ বলেছেন :

لم يطيثه إن قبلهم ولا جا۔

“বেহেশতী হুরদেরকে ইতিপূর্বে কোন মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি।” -(সূরা আর-রাহমান ৫৬)


আল্লাহ আরাে বলেন فيومين يسأل عن ذ إث وجا. “সেদিন মানুষ এবং জিনকে তাদের গুনাহ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না। কেননা, তাদের আমলনামাই এজন্য যথেষ্ট।” -(সূরা আর-রাহমান-৩৯)

Last Line:

কোরআনের আলোকে জ্বিনের সৃষ্টি এবং জ্বিনের অস্তিত্ব (Proved by the Qur’an: The creation and existence of jinn)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top