পেঁপে বাংলাদেশের অতি পরিচিত একটি ফল এবং সবজি । পেঁপে দেশীয় ফলের মধ্যে উন্নত, মানসম্মত, সুন্দর ও লোভনীয় ফল। পেঁপে পাকা খেতে যেমন সুস্বাধু তেমনি বিভিন্ন রেসিপিতেও কাঁচা পেঁপের বেশ কদর রয়েছে। কাঁচা পেঁপেতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন।
কঠিন অসুখ সারাতে কাঁচা পেঁপে
কাঁচা পেঁপের উপকারিতা
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
আমিষ | ০.৬ গ্রাম |
স্নেহ | ০.১ গ্রাম |
খনিজ পদার্থ | ০.৫ গ্রাম |
ফাইবার | ০.৮ গ্রাম |
শর্করা | ৭.২ গ্রাম |
ভিটামিন সি | ৫৭ মিলিগ্রাম |
সোডিয়াম | ৬.০ মিলিগ্রাম |
পটাসিয়াম | ৬৯ মিলিগ্রাম |
আয়রন | ০.৫ মিলিগ্রাম |
খাদ্যশক্তি | ৩২ কিলোক্যালরি |
কঠিন অসুখ সারাতে কাঁচা পেঁপে | কাঁচা পেঁপের উপকারিতা
★ ১০ ফোঁটা করে কাঁচা পেঁপের দুধ বা আঠা প্রতিদিন অল্প পানিতে মিশিয়ে খেলে দাদ ও চর্মরোগ সারে, কৃমি নাশ হয়।
★ প্রতিদিন দুপুরে ভাত খাওয়ার পর এবং রাতে ভাত বা রুটি খাওয়ার পর এক টুকরো কাঁচা পেঁপে ভাল করে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়- অম্বল ও বদহজমের কষ্ট দূর হয়।
★ দুই চা চামচ কাঁচা পেঁপের আঠায় ২ চা চামচ চিনি মিশিয়ে কিছুদিন ধরে দিনে। তিনবার করে খেলে পিলের আয়তন ক্রমশ কমে যায়।
★ দুই চা চামচ পেঁপের আঠায় ১ চা চামচ চিনি মিশিয়ে দুধের সঙ্গে খেলে অম্বল ও অজীর্ণ রোগে উপকার হয়।
আরও পড়ুন… পেঁয়াজের বহু গুণ ও ব্যবহার
★ যে সব মায়েদের সদ্য বাচ্চা হয়েছে কাঁচা পেঁপের তরকারি নিয়মিত খেলে তাঁদের স্তনের দুধ বাড়বে।
★ পিলে ও লিভার বেড়ে যাওয়া, তার সঙ্গে জ্বর ও দুর্বলতার ঔষধ হিসেবে দিনে রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর নিয়মিত ৫/১০ ফোঁটা করে পেঁপের আঠা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
★ ঔষধ হিসেবে কাঁচা পেঁপের গুণ পাকা পেঁপের চেয়ে বেশী। পেপটিন বা পেঁপের আঠার গুণ অশেষ।
★ বড় কাঁচা পেঁপে চিরে নিয়ে তার নিচে একটি কাপ বা ডিশ রাখুন। এইভাবে দুধ বের করে নিন। এই দুধ বা আঠা তৎক্ষণাৎ রোদে শুকিয়ে নিন। এই আঠা গুঁড়ো করে শিশিতে ঢাকনা বন্ধ করে রাখুন গ্যাস্ট্রিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের অসুখে এই চূর্ণ আশ্চর্য ভাল ফল দেয়। পাকস্থলীর দাহ, বায়ু গোলক, ব্রণ, অম্লপিত্ত, বদহজম প্রভৃতি অসুখও এই চূর্ণ নিয়মিত খেলে সেরে যায়।
★ আধ চামচ পেঁপের দুধ চিনি মিশিয়ে খেলে অজীর্ণতা সারে।
★ কাঁচা পেঁপের বীজ কৃমি নাশক।
★ এই বীজ খেলে মেয়েদের ঋতু নিয়মিত হয় এবং বেশী পরিমাণে খেলে গর্ভপাত হয়।
★ পেঁপের পাতা পানিতে সেদ্ধ করে চায়ের মতো তৈরী করে খাওয়ালে হৃদরোগে লাভ দেয়।
★ সতর্কতা – গর্ভবতী মহিলাদের এবং যাঁদের মাসিক বেশী হয় তাঁদের পেঁপে খাওয়া উচিত নয়। কারণ পেঁপে রজঃ (রক্ত) ও ভ্রুণ নিঃসারক।
Conclusion:
পেঁপের নানাবিধ পুষ্টিগুণের কারণে প্রায় সকল মানুষই পেঁপে খেতে পছন্দ করে । কাচা পেঁপের তরকারী রান্না করলেও অনেক সুস্বাদু এবং উপাদেয় হয় । যা হজম শক্তি বৃদ্ধি, অম্লত্ব দুরীকরণসহ বহুবিধ কাজে ব্যবহৃত হয়।
কঠিন অসুখ সারাতে কাঁচা পেঁপে | কাঁচা পেঁপের উপকারিতা