এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়?

এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়? মৃত্যুর ঝুকি আছে কিনা জেনে নিন

বাংলায় কিন্তু একটা প্রবাদ আছে, “অসুস্থতা ঘোড়ায় চড়ে আসে কিন্তু রওয়ানা দেয় পায়ে হেঁটে,,

ঠিক তেমনি, এলার্জি হচ্ছে মানব শরীরের ইমিউন সিস্টেমের একটা দীর্ঘস্থায়ী পর্যায় যার কারনে শরীরে অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া দেখা যায়৷ 

এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়?


এলার্জি কি?

এলার্জি হলো শরীর এমন কিছু প্রতিক্রিয়া যা এলার্জন বস্তু যেমন ধুলো, পরাগ রেনু, কাপড়ের ধুলোবালিসহ বিভিন্ন খাদ্য গ্রহন যেমন গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ মাছ খাওয়ার পরে দেখা যায়৷ 

চুল্কানি থেকে শুরু করে হাঁচি, কাশি, স্বর্দি সহ শ্বাসকষ্ট এর মতো বিপদজনক পরিস্থিতি হতে পারে  এলার্জির কারনে। আমাদের মধ্যে অনেকেই এলার্জি জনিত সমস্যায় ভুগি, এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে আমরা এলার্জির ঔষধ বেশি খেয়ে ফেলি৷ 

এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে মানব দেহে কি কি প্রতিক্রিয়া হয়? এতে মৃত্যুর ঝুকি কতটুকু আছে?

চলুন জেনে নেই বিস্তারিত  :

এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়?

আমাদের মধ্যে অনেক রোগী আছেন যারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ঔষধ সেবন করে থাকেন। 

এলার্জি জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা এই রোগ কে অবহেলা করে ডাক্তারের শরনাপন্ন না হয়েই স্থানীয় ঔষধের দোকানদারের কাছে ঔষধ ক্রয় করে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অতিরিক্ত মাত্রায় ঔষধ সেবন করেন৷ এর ফলে অনেক সময় রোগী  মৃত্যু ঝুকিতেও পরে যায়৷ 

এলার্জির ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো কি কি? 

এলার্জির জন্য সাধারণত আমরা এন্টি হিস্টামিন জাতীয় ঔষধ সেবন করে থাকি যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে সেবনের ফলে শরীরের অভ্যন্তরে নানা ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত এলার্জির ঔষধ সেবনের ফলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দেহের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, মাথা ঘোরানো, পেটের প্রদাহ থেকে শুরু করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এমন কি মৃত্যুর দিকে ধাবিত করতে পারে৷ 

এলার্জির ঔষুধ নিয়মিত সেবন করলে শরীরে  ঘুম ঘুম ভাব সৃষ্টি হবে৷ মুখ শুস্ক খুস্ক হয়ে যেতে পারে, এলার্জির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিবে।এলার্জির ঔষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারনে রোগীর মুত্রত্যাগ জনিত সমস্যা, হৃদস্পন্দের গতি বেড়ে যাওয়া, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার মত অবস্থা হতে পারে।

দীর্ঘদিন যাবত এলার্জির ঔষধ বেশি বেশি করে সেবন করলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের জটিলতা হতে পারে, কিডনি লিভার জনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে যার জন্য রোগী কখনো কখনো মৃত্যুর দিকে ঝুকে পড়েন। 

এলার্জি প্রতিরোধের উপায়গুলো কি কি? 

এলার্জির ধরন অনুযায়ী এলার্জি প্রতিরোধের কৌশলগুলোও ভিন্ন রকম হয়ে থাকে৷ সাধারণত এলার্জির লক্ষণগুলো হলো হাচি, ত্বক চুলকানো, চোখ চুলকানো, গলা ব্যাথা, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি৷ 

এলার্জি প্রতিরোধের উপায় গুলো নীচে আলোকপাত করা হলো : 

ত্বকে যাদের এলার্জি তাদের সর্বদা সুতি পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরিধান করা উচিৎ, প্রসাধনী জাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে থাকাই ভালো৷ 

ত্বকের চুলকানি জনিত সমস্যায় স্টেরয়েড জাতীয় মলম,  এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ খাওয়া যেতে পারে৷ এক্ষেত্রে চুলকানির তীব্রতা কমাতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করে রোগের তীব্রতা কিছুটা উপশম করা যেতে পারে। 

চোখ লাল হয়ে যাওয়া,  চুলকানো, চোখ দিয়ে পানি পড়া চোখ ফুলে যাওয়া এসব চোখের এলার্জির কারনে হয়ে থাকে।ধুলোবালি, পরাগ রেণু, পুরোনো কাপড় চোপড় থেকে চোখের এলার্জির সুত্রপাত হতে পারে৷ এজন্য ধুলোবালি থেকে দূরে থাকতে হবে৷ এসব পরিস্থিতে চশমা পড়তে হবে, পুরোনো বই, কাপড় চোপড়, আসবাবপত্র পরিস্কার করে তারপর এগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুয়ায়ী ঔষুধ সেবন করতে হবে 

যাদের এলার্জির সমস্যা তীব্রতর তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন এলার্জন সৃষ্টিকারি খাবার যেমন চিংড়ি,বেগুন, গরুর মাংস, বাদাম, দুধ, ডিম এসব পরিহার করতে পারেন। ব্যক্তিভেদে খাবারের ভিন্নতায় এলার্জি থাকে৷যার যে খাবারে এলার্জি সেই খাবার বর্জন করে এলার্জি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারে৷ 

সুতরাং, এলার্জি জনিত সমস্যা থেকে বাঁচতে আমাদের এলার্জি  দূর করার সঠিক উপায় সম্পর্কে অবগত হতে হবে ও ডাক্তারের  সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক নিয়ম ও পরিমানে ঔষধ সেবন করতে হবে৷ 

1 thought on “এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়?”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top